রঙিন পালকের মায়া তাকে টেনে নিয়েছিল শখের দুনিয়ায়। সেই শখই আজ রাণীশংকৈলের তরুণ মোশাররফকে বানিয়েছে সফল উদ্যোক্তা। তার বাড়ির আঙিনায় এখন কিচির-মিচির শব্দে মুখর নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি, যা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শখের বসে শুরু করা পাখি পালন আজ বেকার যুবক মোশাররফ হোসেনকে এনে দিয়েছে স্বপ্ন ছোঁয়ার পথ। বাচোর ইউনিয়নের সহদোর গ্রামের ইউপি সদস্য তহরুম (মেম্বারের) ছেলে মোশাররফ একসময় শুধু শখ করে বিদেশি পাখি সংগ্রহ করে পুষতেন। কিন্তু সেই শখই এখন বাণিজ্যিক খামারে পরিণত হয়ে তাকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। তার অনন্য উদ্যোগ, শ্রম ও আন্তরিকতা আজ এলাকায় দৃষ্টান্ত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে নিয়মিত যত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর সঠিক খাবারের মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি পাখি পালনে বড় সাফল্য অর্জন করেছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোশাররফের খামারে রয়েছে শানকুনুর, পাইনঅ্যাপেল, কুনুর, সোনালী ময়না, নানা রঙের কোকাটেল, লাভবার্ডসহ বেশ কয়েক প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি।
শুধু তাই নয়, তার খামারে আছে আমেরিকান লাতামেক্স কুকুর ও পার্ফিয়ান বিড়াল। এগুলো দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় জমায় তার বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, পাখি পালন নিয়ে মোশাররফের নিষ্ঠা সত্যিই অনুকরণীয়। তার অগ্রযাত্রা এলাকার তরুণদের উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে। পাখিপ্রেমী মোশাররফ হোসেন বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে আমি এ খামার করে আসছি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে পাখির খামার গড়ার পরিকল্পনা আছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এলাকার অনেক বেকার যুবককেও এ কাজে যুক্ত করতে চাই।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, “পাখির তেমন রোগ হয় না। কম খরচে ও অল্প সময়ে পাখি বড় করা যায়,এটি লাভজনক একটি পেশা। আমরা মোশাররফসহ এ ধরনের খামারিদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে আসছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাজিদা বেগম জানান, “ সম্প্রতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ মেলায় মোশাররফের স্টলে প্রথম তার পাখি দেখি। আজ আমার ছোট ভাগিনার জন্য এখান থেকে পাখি কিনতে এসেছি। তার খামার দেখে খুব ভালো লাগলো। এ ধরনের উদ্যোগ যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করবে এবং বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা করবে।”
শখ থেকে শুরু হলেও মোশাররফের পাখির খামার এখন সম্ভাবনার নতুন ঠিকানা। তার সাফল্য এলাকার অন্য তরুণদের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে নিয়মিত যত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর সঠিক খাবারের মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি পাখি পালনে বড় সাফল্য অর্জন করেছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোশাররফের খামারে রয়েছে শানকুনুর, পাইনঅ্যাপেল, কুনুর, সোনালী ময়না, নানা রঙের কোকাটেল, লাভবার্ডসহ বেশ কয়েক প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি।
শুধু তাই নয়, তার খামারে আছে আমেরিকান লাতামেক্স কুকুর ও পার্ফিয়ান বিড়াল। এগুলো দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় জমায় তার বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, পাখি পালন নিয়ে মোশাররফের নিষ্ঠা সত্যিই অনুকরণীয়। তার অগ্রযাত্রা এলাকার তরুণদের উৎসাহ দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে। পাখিপ্রেমী মোশাররফ হোসেন বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে আমি এ খামার করে আসছি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে পাখির খামার গড়ার পরিকল্পনা আছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এলাকার অনেক বেকার যুবককেও এ কাজে যুক্ত করতে চাই।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, “পাখির তেমন রোগ হয় না। কম খরচে ও অল্প সময়ে পাখি বড় করা যায়,এটি লাভজনক একটি পেশা। আমরা মোশাররফসহ এ ধরনের খামারিদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে আসছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাজিদা বেগম জানান, “ সম্প্রতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ মেলায় মোশাররফের স্টলে প্রথম তার পাখি দেখি। আজ আমার ছোট ভাগিনার জন্য এখান থেকে পাখি কিনতে এসেছি। তার খামার দেখে খুব ভালো লাগলো। এ ধরনের উদ্যোগ যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করবে এবং বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা করবে।”
শখ থেকে শুরু হলেও মোশাররফের পাখির খামার এখন সম্ভাবনার নতুন ঠিকানা। তার সাফল্য এলাকার অন্য তরুণদের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি